এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে আপন ভাইদেরকে বিরুদ্ধে অপর ভাইয়ের বসতভিটা দখলে নিতে দলিল জালিয়াতি ও ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগুন দেয়ার ঘটনায় বসতঘরসহ মালামাল পুড়ে প্রায় দেড়লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত ভাই ও তাদের ছেলেরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম (৬৫)। কোনাখালী সিকদারপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।

কোনাখালী ইউনিয়নের সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে নুরুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাবার মৃত্যুর পর পৈত্রিক বসতভিটায় ঘর তৈরী করে বসবাস করছেন তিনভাই। কিন্তু তাঁর অগোচরে অপর দুইভাই মোহাম্মদ জকরিয়া ও আবদুস সাত্তার একটি ভুয়া দলিল তৈরী করে তাঁর (নুরুল ইসলাম) অংশের জায়গাটি দখলে নিতে অপচেষ্ঠা করে। অভিযুক্ত দুইভাই মোহাম্মদ জকরিয়া ও আবদুস সাত্তার জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে একটি দলিলও তৈরী করে। দলিলে লেখা হয় তিনি (নুরুল ইসলাম) ও অপর একবোন তাদের অংশের জায়গা অভিযুক্ত দুই ভাইকে বিক্রি করে দিয়েছেন।

নুরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনি কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার তদন্তকালে দলিলটি অনুসন্ধান করে জালিয়াতির ঘটনা উৎঘাটন করে। তাতে দেখা যায় ৫৮৬০ নম্বর দলিলটির মালিক চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার হাজী আশরাফ আলীর ছেলে আবদুস সাত্তার। পরে আমি এ ঘটনায় চলতিবছরের ২৬ এপ্রিল চকরিয়া থানায় মামলা করি। যার নং জিআর ২২৩/১৮।

মামলার প্রেক্ষিতে আসামি দুইভাই মোহাম্মদ জকরিয়া ও আবদুস সাত্তার গ্রেফতার হন এবং জেলহাজতে যান। পরে তাঁরা জামিনে এসে পুনরায় আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় আমি গত ১৬ মে চকরিয়া থানায় একটি জিডি (নং ৭৪৪) দায়ের করি। এতে দুইভাই মোহাম্মদ জকরিয়া ও আবদুস সাত্তার ছাড়াও তাদের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মিনার, নুরুল আবছার ও নুর মোহাম্মদকে আসামি করা হয়।

সর্বশেষ গত ১৬ জুলাই রাতে অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে আমার বসতঘরে আগুন দেয়। এতে বসতঘরসহ মালামাল পুড়ে প্রায় দেড়লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত ভাই ও তাদের ছেলেরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম।